পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026
পবিত্র শবেবরাত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অনেক বেশি ফজিলত পূর্ণ। তাই পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল আমাদের সকলের জানা উচিত অনেক। তাই পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026 নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলে।
পবিত্র শবেবরাত সম্পর্কে আমরা জানলেও পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026 সম্পর্কে জানা আমাদের জরুরী। সেজন্য পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026 সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে।
পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026
পবিত্র শবে বরাত ইসলাম ধর্মের একটি অত্যন্ত পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ রজনী। আরবি মাস সাবানের ১৪ তারিখ রাত অর্থাৎ ১৫ সাবানের আগের রাত্রি হলো শবে বরাতের রাত। ২০২৬ সালে এই পবিত্র রাত্রি মুসলমানদের জন্য আবারো বরকতময় সুযোগ নিয়ে আসবে।
সাধারণত এ রাতকে লাইলাতুল বরকত বা মুক্তির রাত বলা হয়। এ রাতে আল্লাহ তা'আলা বান্দাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং ভাগ্য নির্ধারণ করেন। শবে বরাতের ফজিলত অনেক হাদিসে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে ঠিক তেমনি কোরআনেও এ সম্পর্কে অনেক ধারণা দেওয়া রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সাবান এর ১৫ তম রাতে আল্লাহ তাআলার বান্দাদের প্রতি দৃষ্টি দেন এবং গুনাহ ক্ষমা করে দেন তবে মুশরিক ও বিদ্বেষপূর্ণ হৃদয়ের মানুষ ছাড়া। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তার অসীম দয়া ও রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দেন।
শবে বরাতের রাতে নামাজ দোয়া কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির তওবা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এ রাতে আমরা সাধারণত আমাদের আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী পরিবারের জন্য মৃত আত্মীয়-স্বজনদের জন্য তাদের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
এর রাত অত্যন্ত মহিমানিত রাত। এ রাত আমাদের জন্য অনেক বরকতম একটি রাত। আমাদের জন্য শবে বরাতের রাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এ রাতের ফজিলত জানার পর আমরা কখনো এই এবাদত থেকে বিরতি থাকবো না।
পবিত্র শবে বরাতের নামাজ
শবে বরাতের অন্যতম বিশেষ এবাদত হল নামাজ। এ রাতে মুসলমানরা বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করেন। কেউ একা একা আবার কেউ জামাতে নামাজ পড়ে আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন। নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই তবে সংক্রান্ত দুই রাকাত করে যত ইচ্ছা পড়া যায়।
অনেকে ১০০ রাকাত পর্যন্ত নামাজ আদায় করে থাকেন। শবে বরাতের নামাজ পড়ার জন্য অর্থাৎ নামাজ পড়ার সময় নীরবে নামাজ পড়তে হবে। আশেপাশের কেউ যেন কোন কথা শুনতে না পাই সেভাবে নামাজ পড়তে হবে।
এ রাতে মানুষ নিজের জীবনের পাপ সমূহ স্মরণ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই ভবিষ্যতের জন্য নেক আমল করার প্রতিজ্ঞা করে। নামাজ শেষে দোয়া ও ইস্তেগফার পড়া খুবই উত্তম আমল। নামাজে ছোট ছোট যে সকল দোয়া সমূহ রয়েছে সেগুলো পাঠ করা যাবে।
পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026 এর মাহাত্ম্য অনেক বেশি। এ রাতে বেশি পরিমাণে আমাদের কোরআন তেলাওয়াত দরুদ শরীফ তাসবিহ পাঠ করতে হবে। কারণ এ রাতে যত বেশি ইবাদত করা যাবে আল্লাহ তা'আলা তত বেশি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন।
শবে বরাতের নামাজ আমাদের জন্য এক আন্তরিক প্রশান্তি ও পরিশুদ্ধ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এটি এমন একটি রাত যখন তার বান্দা তার রবের নিকট ফিরে আসে তওবা করে ও নতুন ভাবে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা পায় তখন আল্লাহ তাআলার রহমত ও ক্ষমা অনেক বেড়ে যায়।
পবিত্র শবে বরাতের আরবি দোয়া
পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026 এ শবে বরাতের আরবি দোয়া সমূহ জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। কোন কোন দোয়ার ফজিলত সবচেয়ে বেশি এবং কোন দোয়া পড়লে আল্লাহ তায়ালার রহমত পাওয়া যায় সে সকল দোয়া আমাদের জানতে হবে।
পবিত্র শবে বরাতের বিশেষ আরবি দোয়াটি হল আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আননি অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল আপনি ক্ষমা করতে ভালবাসেন অতএব আমাকে মাফ করে দেন। এই দোয়াটি খুবই সংক্ষিপ্ত তবে ফজিলত অনেক বেশি।
এই দোয়াটি সাধারণত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম লাইলাতুল কদরের পাঠ করার জন্য বলেছেন তবে শবে বরাতের রাতে এটি পাঠ করা অত্যন্ত কল্যাণকর। এছাড়াও আরো অনেক দোয়া রয়েছে যারা অনেকেই পাঠ করে থাকেন।
আরেকটি দেওয়া হলো আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়ালিল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত অল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত মুমিনাত আল আহাইয়া-ই মিনহুম ওয়াল আম ওয়াত অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাকে সকল মুসলমান নারী পুরুষকে মুমিন নারী পুরুষকে ক্ষমা করে দেন জীবিত ও মৃত সবাইকে।
এ রাত অত্যন্ত মহিমানিত রাত হওয়ার কারণে আল্লাহ তাআলার দরবারে যা যা হয় আল্লাহ তা'আলা তাই দেন এবং আল্লাহ তালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলার কাছে রহমত চাইলে আল্লাহ তাআলা রহমত দান করেন।
পবিত্র শবে বরাতের উপকারিতা
পবিত্র শবে বরাতের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত যা আমাদের জন্য মঙ্গলময়। পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি আমাদের জন্য কল্যাণ ও শুভকামনার পথ নিয়ে আসে।
পবিত্র শবেবরাতের রাতের উপকারিতা গুলো নিম্নরূপঃ
- এ রাতে আল্লাহ তা'আলা বান্দাদের গুনাহ হওয়া মাফ করে দেন।
- এ রাতে বান্দা আল্লাহর নিকট তওবা করলে আল্লাহ তাআলা তওবা কবুল করেন।
- এ রাতে নামাজ আদায় করলে বিপুল সওয়াব অর্জিত হয়।
- এ রাতে কোরআন তিলাওয়াত করলে মন শান্তি পায় অনেক বৃদ্ধি পায়।
- দোয়া কবুলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাত হল শবে বরাতের রাত।
- এ রাতে আল্লাহ তা'আলা রিজিক বৃদ্ধি ও ভাগ্য নির্ধারণ করেন।
- মৃত আত্মীয়-স্বজনদের জন্য দোয়া করলে তাদের মাগফিরাত লাভ হয়।
- এবাদত করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
- আত্মশুদ্ধি ও আত্মসমালোচনার জন্য এটি সর্বোত্তম সময়।
- এটি আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য আল্লাহর মহত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।
- এরাতে বান্দা ও প্রভুর সম্পর্ক আরো গভীর হয়।
- এ রাতে আল্লাহ তাআলা রহমতের দরজা খুলে দেন।
- এ রাতে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় পাওয়া যায়।
- সমাজে ক্ষমা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি শিক্ষা দেয়।
- যারা আন্তরিকভাবে আল্লাহর পথে ফিরে আসে তাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা রহমত দান করেন।
- এ রাতে এবাদত করলে দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি লাভ করা যায়।
- শবে বরাতের দান-সদকা করলে দ্বিগুণ সব পাওয়া যায়।
- এ রাতে নামাজের মাধ্যমে মন ও আত্মা প্রশান্ত হয়।
- এ রাতে রাত জেগে নামাজ আদায় করলে ফেরেশতারা দোয়া করেন।
- এ রাত এতটাই পবিত্র যে মুমিন ব্যক্তিকে নতুন জীবনের পরিবর্তনের দুয়ারে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
পবিত্র শবে বরাতের সঠিক তারিখ
পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026 এ পবিত্র শবে বরাতের সঠিক তারিখ জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা যারা মুমিন ব্যক্তি এবং আমরা যারা এবাদত করি তাদের জন্য তারিখ জানা একটি আক্ষেপের বিষয়।
২০২৬ সালের পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে ৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে যা হিজরি শাবান মাসের ১৫ তারিখের রজনী। বাংলাদেশে এটি ৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সরকারি ছুটির দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ তার আগের রাত্রি শবে বরাতের রাত।
বাংলাদেশ সরকার ২০২৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার শবে বরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন। এই দিন ব্যাংক ও সরকারি অফিস আদালত সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কারণ তার আগের দিন রাত পবিত্র শবেবরাতের রাত হওয়ার কারণে প্রতিটি ব্যক্তি এবাদত করেন।
শবে বরাতের মুসলমানরা অনেকে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করে আবার কেউ নিজ বাড়িতে একাকী ঘরে বসে এবাদত করেন। তবে যেভাবে এবাদত করা হোক না কেন আল্লাহ তাআলার রহমত ও ক্ষমা পাওয়া যায়। তাই আমরা এই মহিমান্বিত রাতকে কাজে লাগাবো এবং এবাদত করব।
শবে বরাতের ফরজ ও সুন্নত আমল
পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026 এর মধ্যে শবে বরাতের নামাজ ফরজ না সুন্নত এটি আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ অনেকেই ফরজ নিয়ত করে নামাজ আদায় করেন আবার কেউ সুন্নত বলে নামাজ আদায় করেন।
যদিও শবে বরাতের এবাদত ফরজ নয় তবু সুন্নত ও নফল এবাদতগুলো পালন করলে অনেক সোয়াব অর্জিত হয়। শবে বরাতের ফরজ বা মৌলিক দায়িত্ব হল ইসলামী আচার অনুষ্ঠান মেনে রাতটি পবিত্র ভাবে কাটানো।
এটি সরাসরি কোন খরচ এবাদত নয় তবে সুন্নত আমল হিসেবে পালন করা যাবে। সুন্নত নামাজ কোরআন তেলাওয়াত দোয়া ও তওবা করা এই নামাজের অন্তর্ভুক্ত। শবে বরাতের সুন্নত আমলের মধ্যে অন্যতম হলো নফল নামাজ আদায় করা।
আরও প ড়ুনঃ মহিলাদের ওযু ভঙ্গের ২০ টি কারণ
এ রাত অনেক মহিমানিত রাত এবং এ রাত শুধুমাত্র নিজের জন্য নিজের এবাদত এর জন্য নিজের কল্যাণ কামনা করার জন্য নিজের রহমত পাওয়ার জন্য এবং নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করা হয়। তাই এটি একটি নফল নামাজ।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন এ রাতে যে ব্যক্তি রাত জেগে নামাজ আদায় করে আল্লাহ তা'আলা তার সারা জীবনের গুনাহ মাফ করে দেন। দুই রাকাতে নিয়ত করে চার রাকাতে মোনাজাত করতে হবে। এভাবে অনেক রাকাত নামাজ পড়া যাবে।
পবিত্র শবে বরাতের রাতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য
পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026 এরমধ্যে এ রাতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য একজন মুমিন ব্যক্তির জীবনে কত বড় যে আশার আলো নিয়ে আসে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এ রাত একজন মুমিন ব্যক্তির জন্য কতটা কল্যাণকর তা শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালাই জানেন।
পবিত্র শবে বরাতের রাতের গুরুত্ব ফজিলত আমল মাহাত্ম্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ রাত প্রতিটি বান্দার জন্য অ্যাড কল্যাণকর রাত। যে ব্যক্তি রাত জেগে আল্লাহ তায়ালার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করে এবং রহমত পাওয়ার আশায় জায়নামাজে বসে দোয়া করে তার জন্য অনেক বড় একটি ব্যাপার।
এছাড়া এই রাত আল্লাহ তায়ালা বরকত ময়ের একটি রাত হিসেবে বিবেচনা করেছেন তার আগামী দিনের যে রিজিক রয়েছে এবং ভাগ্য রয়েছে সেগুলো পরিবর্তন করে দেন। আমাদের উচিত এ রাত্রিকে ঘুমিয়ে না পার করে সারারাত জায়নামাজে বসে আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাৎ করা।
পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে এবং কিভাবে এবাদত করলে আল্লাহ তায়ালার রহমত এবং ক্ষমার প্রার্থী হওয়া যাবে সেভাবেই আমরা এবাদত করব। আল্লাহতালা ইসলামের যে সকল বিধি-বিধান উল্লেখ করেছেন সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করব।
আল্লাহ তাআলা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি মূলত আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এ দুনিয়ার মালিক এজন্য আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের জন্য প্রচুর রহমত এবং দয়া রেখেছেন। তার রহমত এবং দয়ার কোন তুলনা হয় না। তাই আমরা আল্লাহর রহমত পাওয়ার জন্য শবে বরাতের রাতে এবাদত করব।
পবিত্র শবেবরাত সম্পর্কিত হাদিস
শবেবরাত মহরম ও রমজানের পূর্ববর্তী রজনীর মতই আল্লাহর বিশেষ রহমত মাগফিরাত ও বরকতের রাত হিসেবে পরিচিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতদের জন্য অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন যেন তাঁর উম্মতের কল্যাণ হয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন যে ব্যক্তি শবে বরাতের রাতে এবাদত করে আল্লাহ তার পূর্বে সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন এটি মূলত তিরমিজি হাদিস এর একটি অংশ। এটি থেকে বোঝা যায় শবে বরাতের রাত আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার জন্য বিশেষভাবে নির্বাচিত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরো একটি হাদিসে বলেছেন এই রাতে আল্লাহ মানুষের নেকি ও দুঃখের হিসাব নির্ধারণ করেন। তাই এ রাতে বেশি বেশি সাদকা দোয়া ও নামাজ আদায় করা অত্যন্ত সৎ ও ফজিলতপূর্ণ একটি এবাদত।
শবে বরাতের রাতে সঠিকভাবে এবাদত করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে ব্যক্তি শবে বরাতের রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন তার দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেন না। আল্লাহ তার চাওয়া পাওয়ার দোয়া কখনো বাতিল করেন না।
আল্লাহ তাআলার রহমত সবচেয়ে বেশি বান্দার প্রতি। বান্দা রহমত পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দুই হাত তুলে জায়নামাজে বসে ক্ষমাপ্রার্থনা করছে এবং রহমত চাইছে এবং আল্লাহ তায়ালা এটি দিবেন না ফিরিয়ে দিবেন এটা কখনো সম্ভব নয়।
শবে বরাতের উপদেশ ও অনুপ্রেরণা
পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল 2026 এর মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এর উপদেশ এবং অনুপ্রেরণা। এ রাতে আমরা যতই এবাদত করি না কেন আমাদের জন্য যে উপদেশগুলো আছে সেগুলো মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বান্দা যখন এবাদত করার উপদেশ পায় তখন তার মনে একটি উৎসাহ এবং আনন্দ জাগে যে রাত জেগে নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তা'আলা তাকে রহমত দান করবেন তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং তার ভবিষ্যৎ জীবনের যে ভাগ্য আছে সেটি আল্লাহ তালাই নির্ধারণ করবেন।
এবাদত করার পর বান্দা যখন উপদেশ এবং অনুপ্রেরণা পায় যে আল্লাহ তায়ালাকে রহমত দিয়েছেন এবং আল্লাহতালা তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তার রিজিককে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন তখন বান্দার অনুপ্রেরণা আরো বেশি দ্বিগুণ পরিমাণ বেড়ে যায়।
আমরা সাধারণত নিজেরা ইবাদত করব নিজেকে সৎ এবং ভালো মানুষ করার চেষ্টা করব তার পাশাপাশি আমাদের সমাজে আত্মীয়-স্বজনেরা যারা রয়েছে তাদেরকে এ রাতে নামাজ আদায় করার জন্য সুপরামর্শ দিব।
যারা আমাদের মৃত ব্যক্তিরা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে চলে গিয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাদের গুনাহ মাফ করার জন্য আল্লাহতালা দরবারে ক্ষমা চাইবো। অর্থাৎ একজন ভালো মানুষ হওয়ার জন্য মুমিন ব্যক্তি হিসেবে আমরা এ রাত থেকে পবিত্র রাতে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করব।
পরিশেষে
পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্ব আমল সমূহ কি কি এবং বান্দার জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ রাত এবং বান্দা কিভাবে এবাদত করলে আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্টি অর্জন করবে সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারলাম আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
এছাড়া এ রাত মহিমানিত রাত হওয়ার কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে নির্দেশনা বলেই দিয়েছেন এবং হাদিসে বর্ণনা করেছেন সেগুলো আমরা জেনেছি এই আর্টিকেলটিতে। তাই নিয়মিত এরকম আরো পোস্ট পেতে www. jarinonline.com এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url